আসসালামু আলাইকুম, দ্বিতীয় রোজার ফজিলত (2nd rojar fojilot) সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই আগ্রহী। আমরা আজকের এই প্রশ্নের মাধ্যমে আপনাদের সাথে দ্বিতীয় রোজার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা সকলেই জানি মহান আল্লাহ তায়ালার ৩০ টি রোজার জন্য ত্রিশটি ফজিলত আমাদের মাঝে করেছেন।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
এই সকল ফজিলত গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় রোজার ফজিলত কি সেই সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। দ্বিতীয় রোজার ফজিলত কি এ বিষয়ে জানানোর পাশাপাশি রোজা রাখার নিয়মকানুন সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলো আপনারা আজকের এই পোস্ট থেকে পেয়ে যাবেন।
তাই অবশ্যই দ্বিতীয় রোজার ফজিলত (2nd rojar fojilot) এবং রোজা সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যগুলো জানতে হলে আজকের এই পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
দ্বিতীয় রোজার ফজিলত – 2nd Rojar Fojilot
পবিত্র মাহে রমজান মাস মহান আল্লাহ তাআলা থেকে প্রদত্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আ:) হতে শুরু করে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ওপরও রোজা ফরজ করা হয়েছে।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বশেষ অথবা আখেরি নবী।
আমাদের পূর্ববর্তী নবীদের ওপর যেভাবে রোজা ফরজ করা হয়েছিল ঠিক সেভাবে আমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমের মধ্যে উল্লেখ করেছেন যে, হে ঈমানদারগণ তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে।
যেমন, তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল; যেন তোমরা খোদাভীতি অর্জন করতে পারো’ (সূরা আল-বাকারা আয়াত ১৮৩)। অর্থাৎ, পবিত্র মাহে রমজান মাস আমাদের জন্য এবং আমাদের পূর্ববর্তী সকল মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।
এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে দ্বিতীয় রোজার ফজিলত কি? আমরা সকলেই জানি মহান আল্লাহ তায়ালা ৩০ টি রোজার জন্য আলাদা আলাদা ত্রিশটি ফজিলত আমাদের মাঝে দিয়েছেন।
তবে আমরা বিভিন্নভাবে সবচেয়ে বেশি জানতে চাই প্রথম রোজা ফজিলত এবং দ্বিতীয় রোজা ফজিলত সম্পর্কে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং নানান ধরনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি যে দ্বিতীয় রোজা ফজিলত হচ্ছে মা বাবার সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
তবে এই ফজিলত সম্পর্কে তো কোন প্রমাণস্বরূপ দলিল এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কিংবা এটি কোরআন হাদিস কিংবা অন্যান্য কোথায় রয়েছে সে বিষয়েও কোনো তথ্য বা দলিল পাওয়া যায়নি।
চলুন আমরা এই সকল ফজিলত গুলো বিশ্বাস না করে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এবং প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথে রোজাগুলো পালন করি।
তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আমাদের উপর খুশি হবেন এবং তিনি আমাদেরকে সকল পাপ কাজ থেকে নিষ্পত্তি করবেন।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
যে সকল ফজিলত সম্পর্কিত কথাগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে এই সকল ফজিলতগুলো সম্পর্কে কোন তথ্য বা দলিল নেই তাই এগুলো বিশ্বাস করাটা অযৌক্তিক।
২য় রোজার ফজিলত – 2 Rojar Fojilot
আমরা ইতিমধ্যেই আপনাদের সামনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং গণমাধ্যম থেকে পাওয়া দ্বিতীয় রোজা ফজিলত সম্পর্কে জানিয়েছি।
তবে এই সম্পর্কে কোন দলিল কিংবা প্রামাণ্য কোন বিষয় না পাওয়ায় আমাদের এটি থেকে বিরত থাকাই জরুরী।
পবিত্র মাহে রমজান মাসে আমাদের সকলেরই মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যের প্রত্যেকটি রোজা গুরুত্ব সহকারে রাখা উচিত।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সম্পূর্ণ ত্রিশটি রোজা রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুনঃ
ইসলামপুর মার্কেট কবে বন্ধ থাকে?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রোজার সময়সূচি ২০২৩
মহিলাদের জানাজার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
এছাড়াও মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজিদের মাধ্যমে রোজাদারদের বিভিন্ন সম্পর্কে জানিয়েছেন।
এ বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র রমজান মাসে যে ব্যক্তির উপর দৃষ্টি(রহমতের দৃষ্টি) দেন সে ব্যক্তিকে তিনি অবশ্যই ক্ষমা করে দেন।
এছাড়াও মহান আল্লাহ তায়ালা আরও উল্লেখ করেন যে, সন্ধ্যার সময় রোজাদারদের মুখ থেকে যে গন্ধ বের হয়, তা আল্লাহর কাছে মেশ্কের সুগন্ধির চেয়েও উত্তম।
প্রত্যেক দিনে ও রাতে ফেরেশতারা রোজাদারদের জন্য দোয়া করেন।
আল্লাহ তাআলা তাঁর বেহেশতকে বলেন, ‘তুমি আমার বান্দার জন্য সুসজ্জিত ও প্রস্তুত হও!
আমার বান্দারা অচিরেই দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে অব্যাহতি পেয়ে আমার বাড়িতে ও আমার সম্মানজনক আশ্রয়ে এসে বিশ্রাম নেবে।
’রমজানের শেষ রাতে আল্লাহ তাদের সব গুনাহ মাফ করে দেন।’ এক ব্যক্তি বলল, ‘এটা কি লাইলাতুল কদর?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘না, তুমি দেখোনি শ্রমিকেরা যখন কাজ শেষ করে, তখনই পারিশ্রমিক পায়?’ (বায়হাকী)
দ্বিতীয় রোজার ফজিলত FAQS
বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় দ্বিতীয় রোজার ফজিলত হচ্ছে রোজাদারের মা-বাবাকে মাফ করে দেয়া হয়।
মহান আল্লহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমরা রোজা রাখি।
আমাদের শেষ কথা
দ্বিতীয় রোজার ফজিলত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করছি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা আজকের এই কোর্স থেকে দ্বিতীয় রোজা ফজিলত সম্পর্কে তো সকল তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন।
আপনাদের যদি দ্বিতীয় রোজা ফজিলত সম্পর্কিত পোস্টটি সম্পর্কে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা অন্যান্য কিছু জানানো থাকে তবে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমরা প্রতিনিয়তই আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ ধরনের পোস্টগুলো লিখে থাকি তাই অবশ্যই পবিত্র রমজান মাস জুড়ে আমাদের সাথেই থাকুন।
আমরা চেষ্টা করব আপনাদের পবিত্র মাহে রমজান মাসের সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরতে।
তাই অবশ্যই যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা সকল গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো পেতে চান তাহলে অবশ্যই ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
আরও পড়ুনঃ
জোহরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।