মোবাইল আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি জিনিস তাই মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন (Who invented the mobile phone) সেই বিষয়ে জানার আগ্রহ আমাদের অনেকের মাঝে দেখা যায়। মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন সে বিষয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।
মোবাইল ফোনের ব্যাবহার বর্তমানে অনেক বেশি হয়ে থাকে। আমাদের সমাজে বসবাসরত প্রায় সকল কর্মজীবী এবং ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে থাকে। বিভিন্ন কাজে মোবাইল ফোনের ব্যাবহার অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক কথায় বলতে গেলে বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের ব্যাবহার করা ছাড়া একটি দিনের কথাও ভাবা যায় না। তাই সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন সে বিষয়ে জানা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। যে মোবাইল ফোন আমরা ব্যাবহার করচি সেগুলো বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করেছে।
তবে কার মাথায় সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন আবিস্কার করার ধারনা এসেছে? সেটি জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেছেন
আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হল মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেছে। সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার করা হয় ১৯৭৩ সালে।
আর সেই মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন ড. মার্টিন কুপার। তিনি ছিলেন আমেরিকা নিউইয়র্ক শহরের বাসিন্দা।
প্রথমে শুধুমাত্র কথা বলার জন্যই মোবাইল আবিষ্কার করা হয়েছে। তবে সময়ের সাথে সাথে সকল কিছু বদলে দিয়েছে মানুষের নতুন্ত চিন্তা।
প্রযুক্তি গত দিক থেকে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গিয়েছে এবং তৈরি হয়েছে নতুন নতুন অনেক মোবাইল ফোন।
আমরা বর্তমানে সেই মোবাইল ফোন গুলোই ব্যাবহার করছি।
তবে আপনারা কি জানেন আধুনিক মোবাইল বা স্মার্টফোনের চিন্তা মানুষের মাথায় কিভাবে আসলো।
যেখানে প্রযুক্তি ব্যাবহার করে শুধু কথা বলাটাই অনেক বেশি মনে করত কিছু মানুষ সেখানে স্মার্টফোনও আবিষ্কার করে বিজ্ঞানীরা।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার ২০০০ সালের পর থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকেই স্মার্টফোনগুলো তৈরি হওয়ার পরপরই প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে মোবাইল ফোন খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।
শুধুমাত্র কথা বলার জন্যই নয় বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের যুগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা সম্ভব।
যার কারণে মোবাইল ফোনের ব্যবহার অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা একটি বিষয়ে সকলেই অবগত রয়েছি যে সকল জিনিসগুলোর উপকার রয়েছে সে সকল জিনিসগুলোর অপকার অবশ্যই আছে।
সেই হিসেবে অনুযায়ী মোবাইল ফোনের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন সময় আমরা গুগলে সার্চ করে থাকি।
মোবাইল ফোনের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো আমরা আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
মোবাইল ফোনের উপকারিতাঃ
যে ব্যক্তি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে তিনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তার জন্য মোবাইল ফোন প্রয়োজনীয়।
কেননা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে শুধুমাত্র কথা বলবে এমন কিন্তু নয়।
এর পাশাপাশি মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ধারা সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবেও উন্নতি সাধন করা সম্ভব।
আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা মোবাইল ফোনের ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছেন।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে সমাজকে সুন্দর করার পরিকল্পনা করছেন।
এতে করে প্রাপ্তবয়স্ক লোকেদের মাঝে মোবাইল ফোনের চাহিদা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবং মোবাইল ফোনের কোম্পানিগুলো সেই হিসেবে বাজারে নিজেদের নতুন নতুন মোবাইল ফোনগুলো তৈরি করছে।
মোবাইল ফোনের অপকারিতাঃ
আগেই বলেছি যে জিনিসের উপকারিতা রয়েছে অবশ্যই সে বিষয়গুলোর অপকারিতা ও আমাদের সমাজে রয়েছে।
মোবাইল ফোন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ব্যবহার করলে চোখের নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।
এছাড়াও যারা পড়াশোনা করে তাদের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে পড়াশোনার ক্ষতির পাশাপাশি আর নানান ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
বিভিন্ন সময় আমাদের শিক্ষার্থীদের বলা হয় ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা গুলো তুলে ধরার জন্য।
আপনারা কি জানেন ছাত্রজীবনের মোবাইল ফোনের অপকারিতা অনেক বেশি। কেননা ছাত্র জীবনে যদি কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তবে সে বেশিরভাগ সময়ে মোবাইলের সময় দেয়।
যার কারণে তার পড়াশোনার নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং তাদের জ্ঞানের ত্রুটিতে পড়তে হয়।
এক্ষেত্রে অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিজেদের পড়াশোনাকে করছে আরো বেশি সমৃদ্ধ।
মোবাইল ফোনের মধ্যে বিভিন্ন সাজেশন এবং গাইডলাইন দেখে তারা পড়াশোনা কে সঠিক পথে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।
তবে এই ধরনের সময়কে কাজে লাগানোর পরিমাণ খুবই কম বেশিরভাগ সময়ে ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহারের জন্য নিজেদের রেজাল্ট খারাপ হয়।
তবে এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যদি সঠিক গাইডলাইন মেনে পড়াশোনা করা সম্ভব হয় তবে অবশ্যই মোবাইল সেক্ষেত্রে একটি উপকারী জিনিস।
মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন FAQS
সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন ড. মার্টিন কুপার।
সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার করা হয় ১৯৭৩ সালে।
আমাদের শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে আমরা তুলে ধরেছি মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন এবং এর পাশাপাশি মোবাইল ফোনের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কেও আমরা বিস্তারিত তথ্যগুলো আপনাদের কাছে শেয়ার করেছি।
মোবাইল ফোন অবশ্যই আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস এবং মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন সে বিষয়ে অবশ্যই আপনারা সঠিক বিষয় জানতেই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়েছেন।
আমরা প্রতিদিনই আপনাদের জন্য নতুন নতুন গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করব।
এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের সকল আর্টিকেলগুলো শেয়ার করব।
তাই অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করে রাখবেন এবং এর পাশাপাশি আমাদের ওয়েব সাইটের আর্টিকেলগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে সেটি আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান।
ধন্যবাদ।
আরও পড়ুনঃ