মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো In 2024

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই সম্পর্কে জানতে এখন অনেকেই Google সার্চ করে থাকেন। আজকে আপনাদের Mobile phone দিয়ে করা জায় এমন Top 7 Freelancing Jobs সম্পর্কে জানাবো। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা এবং মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজে নির্বাচন করার কথা যারা ভাবছেন তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এই নিবন্ধে। 

মূলত যারা জানতে চাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিংইয়ের কোন কোন কাজ গুলো মোবাইল ব্যবহার করে করা যায়। বর্তমান সময়ে মোবাইল হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যারা Freelancing শুরু করতে চাচ্ছেন তারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করতে পারেন। 

তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করবো এটা অনেকটাই স্বপ্নের মত। তাই মোবাইলে নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়ে জানতে হবে যা আমরা আপনাদের জানাবো। 

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার অথবা লেপটপ থাকতে হবে।

কেননা মোবাইল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সকল কাজ গুলো সঠিকভাবে সম্পাদনা করা কষ্টকর, তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখা শুরু করতে পারেন তাতে কোন সমস্যা নেই।

তবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখতে পারবেন সেই বিষয়ে জেনে নিন।

তবে বলা বাহুল্য প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের কিছু প্রয়োজনীয় কাজ মোবাইলের মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকেন। 

ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? 

মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন ৭টি ফ্রিল্যান্সিং জব 2024
মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন ৭টি ফ্রিল্যান্সিং জব

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখতে প্রথমে আপনি যে বিষয়ে নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সেই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিন, তারপর আপনার ক্যাটাগরীতে থাকা ফ্রি রিসোর্স গুলোকে ব্যবহার করে প্রেকটিস করা শুরু করুন। 

তবে মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং এর সকল ক্যাটাগরিতে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব নয়। তবে যে সমস্ত ক্যাটাগরি তে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে ও করতে পারবেন পারবেন ঐ সকল বিষয়ে সঠিক ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো আমরা। 

বর্যাতমানে যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো লিখছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনার পছন্দের যেকোন ক্যাটাগরির কাজ গুলির সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা এবং টুকি টাকি কিছু প্র্যাক্টিস মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। 

তবে একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার কখনোই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখা এবং করার ব্যাপারে আপনাকে সাজেস্ট করবে না।

তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকই আছেন যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান এবং পরবর্তীতে তাদের শিখার ধরণ ও তাদের কাজের উপর ভিত্তি করে তারা দামী ডিভাইস ক্রয় করতে চান। 

কি ধরনের মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়? 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য সঠিক স্মার্টফোন বেছে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আপনার মোবাইলের স্ক্রিন সাইজ বড় হলে ভালো, সেই সাথে যথেষ্ট পরিমাণ স্টোরেজ এবং একটি শক্তিশালী প্রসেসর ও রেম থাকতে হবে। 

সেইসাথে আপনার কাছে একটি হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশান থাকতে হবে।

তবে শুধুমাত্র একটি ভালো মোবাইল ফোন থাকলেই যে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন এমনটা নয় এজন্য আপনাকে আবশ্যিক ভাবে দক্ষ হতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। 

তাই সঠিক স্মার্টফোন, সেরা মোবাইল অ্যাপস এবং কার্যকরী কৌশলগুলির সাহায্যে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে  আপনার ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করতে পারবেন বলে মনে করি আমরা।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন? 

আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রয়োজন অনুসারে একটি মোবাইল অফিস সেটআপ তৈরি করুন। যেখানে আপনার কাছে থাকবে একটি ভালো মানের ডেস্কটপ কম্পিউটারের সাথে মিল রেখে একটি ভাল মানের ব্লুটুথ কিবোর্ড এবং ফোনের জন্য একটি স্ট্যান্ডে। 

সেই সাথে প্রয়োজনীয় মোবাইল অ্যাপস, যা নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে  চাচ্ছেন তার উপর।

ধরুন যদি আপনি Content Writing করতে চান তাহলে আপনার মোবাইলে Google docs, WAS office, Microsoft office word, Notepad++ এর যেকোন একটি অ্যাপ থকালেই চলবে। 

আবার আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তাহলে আপনার মোবাইলে Capcrut, কাইনমাস্টারের মতো জনপ্রিয় মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস গুলো থাকতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপস প্রয়োজন হয়। 

তাই যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ভাবছেন তাদের জন্য বলবো আপনারা প্রথমে আপনার ক্যাটাগরী পছন্দ করুন এবং সেই ক্যাটাগরির অনুসারে কাজ শিখা শুরু করলে আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপস গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কোন কাজ গুলো শেখা যায়। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ করা যায়?

  1. কন্টেন্ট রাইটিং
  2. Logo Designing
  3. Cold Emailing
  4. Online Tutor
  5. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  6. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
  7. ভিডিও এডিটিং

উইল্লেখিত বিষয় গুলিতে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন এবং করতে পারবেন।  ফ্রিল্যান্সিং করার মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ঘরে বসে কাস্টমারদের সেবা দিয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে  টাকা ইনকাম করা।

তাই প্রাথমিকভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার যে ৭টি সহজ উপায় রয়েছে সেই উপায় গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। 

মোবাইল দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট writing বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা। অনেকেরই ধারণা ছিল আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স AI আশার পর কন্টেন্ট রাইদারদের জব চলে যাবে, তবে গুগল এখনও হিউম্যান রাইটিং কনটেন্ট কে খুব বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে, তাই কনটেন্ট রাইটারদের চাহিদা পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে বেশি। এবং এই কাজটি খুব সহজে মোবাইল দিয়ে করা যায়। 

বর্তমান সময়ে ইংরেজি এবং বাংলা সহ যেকোন ভাষায় আপনি কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবেন, যদি আপনি কোন ভাষায় দক্ষ হন।

বর্তমানে অনেক গুলো ক্যাটাগরিতে Content Writing করা যায়, তার মধ্যে অন্যতম টেক্সট কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট, ইমেজ কনটেন্ট, ডক ফাইল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট। 

আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে আজই কনটেন্ট রাইটিং শুরু করতে পারেন, এজন্য আপনার বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র বেসিক নলেজ থাকলেই চলবে।

এছাড়াও আপনি YouTube সার্চ করলে জানতে পারবেন কিভাবে এসইও অপটিমাইজ কনটেন্ট লিখতে হয়, এজন্য আপনাকে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না। 

এছাড়াও আপনি মার্কেট প্লেস গুলিতে কন্টেন্ট রাইটিং বিষয়ে অনেক জব দেখতে পারেন, যেখানে লেখকদের প্রতি ওয়ার্ড হিসাবে টাকা দেয়া হয় এবং জানতে পারেন কন্টেন্ট রাইটাররা কি ধরণের চার্জ করছে কন্টেন্ট রাইটিং করার ক্ষেত্রে।

তাহলেই আপনার ধারণা পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং আপনি জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশার অন্যতম একটি সহজ উপায় হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং।

বর্তমান সময়ে যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব তাদের জন্য বলছি মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করা খুবই সহজ এজন্য আপনি আপনি Google docs অথবা যে কোন টেক্স এডিটর ব্যবহার করতে পারবেন। 

Mobile দিয়ে Content Writing Software

  • Google docs
  • Wps office
  • Microsoft office word 
  • Notepad
  • Notepad++

মোবাইল দিয়ে Logo Designing

ওয়েব ডিজাইনিং সম্পর্কে আপনারা অনেকেই পরিচিত, মোবাইল দিয়ে ওয়েব ভিজাইনিং করা খুবই কষ্টকর।

তবে আপনি ওয়েব ডিজাইনিং ক্যাটাগরীর একটি ছোট্ট ক্যাটাগরি Logo Designing মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন খুব সহজে। 

কোননা বর্তমানে মার্কেটে অনেক মোবাইল এপ্লিকেশন চলে এসেছে যে এপ্লিকেশন ব্যবহার করে খুব সহজেই লোগো ডিজাইন করা যায়। 

বিভিন্ন কোম্পানি তাদের আইডেন্টির জন্য একটি লোগো তৈরি করে থাকে। যেহেতু অনলাইন অফলাইন সকল কোম্পানি তাদের একটি নিজস্ব লোগো তৈরি করে থাকে তাই লোগো তৈরির চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। 

জনপ্রিয় Logo Designing apps

  • Logo Maker
  • Logo Maker Plus
  • Canva
  • Adobe Express

মোবাইল দিয়ে Cold Emailing বা ইমেল মার্কেটিং 

কোল্ড ইমেল হল একটি ইমেল যার উদ্দেশ্য কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়, সুযোগ বা অন্য কোন দ্বৈত-পক্ষীয় সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে একটি সুবিধা লাভ করা যার সাথে প্রেরকের কোন পূর্ব সম্পর্ক বা সংযোগ নেই।

মূলত, কোল্ড ইমেল হল এমন একজনের সাথে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একটি সহজ উপায় যাকে আপনি পূর্বে থেকে জানেন না এবং শেষ পর্যন্ত তাদের গ্রাহকে পরিণত করার আশায় তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করার একটি পদ্দতি। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো যারা খুঁজছেন করছেন তাদের জন্য কোল্ড ইমেল হতে পারে সেরা একটি উপায়।

কেননা একবার Cold Emailing করার জন্য একটি ভালো ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করলে আপনি খুব সহজে মোবাইল দিয়ে ইমেল মার্কেটিং করতে পারবেন। 

মোবাইল দিয়ে Online Tutor (অনলাইন শিক্ষক) 

আপনি কি একজন শিক্ষক এবং অনলাইনে শিক্ষকতা করতে চান? তবে আপনি Online Tutor সেবা দেয়া শুরু করতে পারেন।

আমরা জানি, আজকের ডিজিটাল যুগে সবকিছুই অনলাইন হয়ে গেছে। বিশেষ করে লকডাউনের পর সবাই অফলাইন থেকে ডিজিটালের দিকে এগোচ্ছে।

স্কুল হোক বা কলেজ, সবখানেই এখন অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষার সুবিধা চালু হয়েছে, যা বর্তমানে অফলাইন থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয়।

সেই সাথে কোভিড পরবর্তি সময়ে Online Tutor দের মাধ্যমে অধ্যায়নের বিস্তার বেড়েছে এবং অনলাইন অধ্যয়নের উন্নতির জন্যও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 

এসব বিষয় মাথায় রেখে অনলাইন টিউটরের চাহিদা বাড়ছে। আপনি যদি টেকনিক্যালি ভালো হন তাহলে শীঘ্রই আপনি এ বিষয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন এবং প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরে শিক্ষা কারিকুলামে অফলাইনের সাথে অনলাইন স্টাডিজও বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।

যা শিক্ষা খাতে আরো বিপ্লব ঘটাবে এবং শিক্ষকদের জন্য একটি ভাল বিকল্প খুলবে। আপনার যত বেশি অভিজ্ঞতা থাকবে, তত বেশি সুবিধা পাবেন।

শুধু যে নিজের প্রতিষ্ঠানে অনলাইন টিউটর হিসাবে কাজ করতে পারবেন এমনটা নয়, আপনি চাইলে অনলাইন টিউটর জব হিসাবে নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য বলবো আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজে আপনি অনলাইন টিউটর হিসেবে নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। 

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হচ্ছে অনলাইনে অন্য কারো ব্যক্তিগত সহকারি হিসাবে কাজ করা। বাস্তব জীবনে যেমন কারো ব্যাক্তিগত সহকারী রাখা হয় তেমনি বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইনেও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট বা অনলাইন ব্যক্তিগত সহকারি জব করার সুবিধে রয়েছে।

নিজের জ্ঞান অন্যের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করার  একটি নতুন দিগন্ত হচ্ছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট। ফুলটাইম এবং পার্ট টাইম উভয় ধরনের ফ্রিল্যান্সিং জব রয়েছে এই ক্যাটাগরিতে।   

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভিজিট করলে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে অনেক জব পাবেন। 

মূলত একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ হচ্ছে ক্লায়েন্টের কথামতো তার প্রতিদিনের কাজের সিডিউলগুলো ডিজাইন করা এবং সেই সম্পর্কে তাকে অবগত করা। 

সবচেয়ে মজাদার বিষয় হচ্ছে খুব সহজেই আপনি মোবাইল দিয়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট নামের ফ্রিল্যান্সিং জবটি করতে পারবেন, এর জন্য আপনার কাছে ভালো একটি মোবাইল ফোন থাকা জরুরি এবং সেই সাথে আপনাকে social media অ্যাপস গুলো ভালোভাবে ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা থাকলে আরো বেশি কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ হচ্ছে ক্লাইন্টের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট গুলো নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা। 

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসাবে আপনি নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এজন্য আপনাকে শুধু মাত্র জনপ্রিয় যেমন Facebook, Instagram, x.com সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে।

বর্তমানে একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার প্রতি মাসে 1 থেকে 2 লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। এই কাজ টি করার জন্য আপনাকে খুব বেশি প্রশিক্ষণ নিতে হবে না, যদি আপনি ইতিমধ্যে social media account গুলো ব্যবহার করা শিখে থাকেন।

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার তার ক্লায়েন্টের জন্য কি কি কাজ করে থাকেন তা আপনি ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারবেন। 

অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ক্লায়েন্ট এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা account গুলোতে ক্লায়েন্টের দেওয়া কনটেন্ট গুলো আপলোড করে থাকেন, এছাড়াও অনেক ক্লায়েন্ট তাদের social media ম্যানেজার দের মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করতে করে থাকেন।

তবে তারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের কনটেন্ট তৈরির জন্য টাকা পে করে থাকেন।

সোশ্যাল মিডিয়া গুলতে পোস্ট করা এবং এবং ক্লায়েন্টের চাহিদা মত প্রয়োজনীয় কনটেন্ট তৈরি করে দেয়ার মাধ্যমে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং

একসময় কম্পিউটার বা লেপটপ ছাড়া ভিডিও এডিটিং খুবই কষ্টকর ছিল, তবে বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করা যায়। 

তাই আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ভিডিও এডিটিং আপনার জন্য একটি সেরা ফ্রিল্যান্সিং জব হতে পারে।

কেননা বর্তমান সময়ে অনেকেই মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করে সফল ভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছে। আপনি অল্প কিছুদিন practice করলে খুব সহজেই  মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।  

আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন অনেক ইউটিউবার এর সাথে পরিচিত যারা মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

হয়তোবা মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে প্রথমদিকে আপনার কিছুটা খারাপ লাগতে পারে, তবে আপনি নিয়মিত চেষ্টা ও পরিশ্রম করলে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দিতে পারেন এবং ভাল পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

FAQ About Mobile Freelancing Kore Taka Income

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য মোবাইল দিয়ে প্র্যাক্টিস করা যায় এমন একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। এই নিবন্ধে মোবাইল দিয়ে শেখা ও করা যায় এমন ৭ টি ফ্রীল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেখান থেকে আপনার পছন্দের কাজটি নির্বাচন করুন এবং কাজ শুরু করুন।

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রয়োজনীয় মোবাইল অ্যাপ কি কি?

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রয়োজনীয় মোবাইল অ্যাপ গুলি হচ্ছে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ক্লাউড স্টোরেজ, কমিউনিকেশন এবং ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট। এই অ্যাপ গুলি আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলিকে স্ট্রিম লাইন করতে এবং আপনার দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা?

হাঁ হায়, তবে আপনাকে মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন কাজ নির্বাচন করতে হবে।

মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ করা যায় কি?

হাঁ যায়, তবে আপনাকে মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন কাজ সিলেক্ট করতে হবে।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা সম্বভ?

হাঁ, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা সম্বভ।

শেষ কথা – মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024  

এতক্ষণ যাবৎ মনোযোগ সহকারে আপনারা যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো নিবন্ধনটি পড়ছিলেন তাদের জন্য আমার কিছু বোনাস টিপস রয়েছে। 

সেই বোনাস টিপসটি হচ্ছে উল্লেখিত বিষয়গুলির মধ্য থেকে আপনার পছন্দের বিষয়ে এখনই ইউটিউবে সার্চ করুন এবং ঐ বিষয়ের ভিডিও গুলো দেখতে থাকুন এবং শিখতে থাকুন।

জীবনে সফলতা পেতে হলে আমাদের অবশ্যই কষ্ট করতে হবে সেটা অনলাইনেই হোক বা অফলাইনে হোক।

আপনি যদি ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং করার তাহলে আপনাকে উপরোক্ত সাতটি ক্যাটাগরির যে কোন একটি ক্যাটাগরিতে আজই নিজের কাজ শুরু করে দেয়া উচিত বলে মনে করি।

 সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এডিট গোল ওয়েবসাইট।