আসসালামু আলাইকুম, বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম জানতে আপনারা অনেকেই আগ্রহী। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম ও তাদের কর্মজীবন সম্পর্কে। মূলত সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে এবং বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞানের ধারণা কে নিয়ে আসেন সে সম্পর্কে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
এছাড়াও বাংলাদেশের সমাজ বিজ্ঞানের জনক কাকে বলা হয় সেই সকল বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যদিও সমাজবিজ্ঞান নিয়ে বাংলাদেশে পড়াশোনা কিংবা চর্চা খুবই কম হয়ে থাকে তবুও সমাজবিজ্ঞানের গুরুত্ব বাংলাদেশ অপরিসীম।
প্রতিটি এলাকাবৃত্তিক সমাজবিজ্ঞান কিংবা সমাজ ব্যবস্থার একটি আলাদা নিয়মকানুন রয়েছে। মূলত আজকের এই পোষ্টের মূল বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম কি? চলুন বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানী ও তাদের নাম জেনে নেয়া যাক।
বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞানের বিকাশধারা
সমাজবিজ্ঞানের বিকাশ ছাড়া বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই রয়েছে। আমরা প্রতিটি মানুষই যে কোন একটি সমাজে বসবাস করে থাকি।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
সামাজিক নানান ধরনের নিয়ম কানুন গুলো অনুসরণ করে একটি সমাজের মধ্যে বসবাস করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
আমরা যে সমাজে বসবাস করছি সেই সমাজের সামাজিক নিয়ম নীতি এবং সকল বিষয়ের উপর আমাদের কিছু নিয়মমাফিক চলাফেরা করতে হবে।
আপনি যখন ওই সমাজে বসবাস করছেন তখন ওই সমাজের আচার-আচরণ রীতিনীতি এবং ধর্মীয় বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।
একটি সমাজের মাঝে ভালো দিক যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি উল্টোটাও দেখা যায় মাঝে মাঝে।
কিন্তু এই সকল নিয়ম-কানুন বা নির্দিষ্টভাবে অমান্য করা কিংবা অস্বীকার করবার মতো নিয়ম কিংবা অন্যান্য উপায় আমাদের সমাজে নেই।
সমাজের মধ্যে অধীনস্থ যেকোনো নিয়ম কানুন গুলো আমাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে এবং সেগুলো মেনেই সঠিক নিয়মে চলাফেরা করতে হবে।
সমাজবিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে সমাজের যে কোন স্বার্থ একটি নির্দিষ্ট মানুষকে ব্যক্তিগত জীবনে সমাজের পরিধি নিষেধ ও আদেশ সম্পর্কে সঠিকভাবে পালন করতে হয়ে থাকে।
পড়ুনঃ
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
সমাজ বিজ্ঞানের অন্যতম মূলক আলোচনার বিষয়গুলো হচ্ছে এগুলো। বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম আপনাদের জানাবো তবে এর পূর্বে সমাজ বিজ্ঞান সম্পর্কে সকল ধারণাগুলো আপনাদের জেনে নেয়া আবশ্যক।
সমাজবিজ্ঞানের যে সকল নিয়ম-কানুন গুলো রয়েছে সেগুলোর সবই নির্ভর করে আমাদের ওপর।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
আমাদের সমাজকে কিভাবে আমরা পরিচালনা করতে চাইছি এবং আমাদের সমাজের উন্নতি কতটা হচ্ছে সে বিষয়ে সবদিকে লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব ও আমাদের।
একটি নির্দিষ্ট সমাজকে কেন্দ্র করে মূলত সমাজবিজ্ঞানের আলোচনা হয়ে থাকে। তবে প্রতিটি এলাকা কিংবা প্রতিটি সমাজে একই ধরনের নিয়ম-কানুন হবে তা আবশ্যক নয়।
আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নিয়ম কানুনের সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা হতে পারে।
বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানী । বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম
প্রিয় ভাই ও বোনেরা বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম সম্পর্কে আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে এসেছেন।
তবে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞানের মূল বিষয়টি এনেছিলেন অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের নাজমুল করিম।
তিনি ১৯২২ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালে পরলোক গমন করেন।
তিনি বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞান এর জনক হিসেবে পরিচিত।
পড়ুনঃ
গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
১৯৪৪ সালে ড. নাজমুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ হতে স্নাতক পাস করেছিলেন।
এছাড়া এর দুই বছর পর ১৯৪৬ সালে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেছিলেন। এর পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তানের রাজ্যভিত্তি লাভ করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করার জন্য সুযোগ পান।
পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভারসিটি থেকে অধ্যায়ন শেষ যুগপৎ সরকার ও সমাজবিজ্ঞান এই দুইটি বিষয়ে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন।
তার শিক্ষা জীবনে ১৯৬৪ সালে রফওয়াল ভিত্তিক পেয়েছেন এবং লন্ডনের স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে একটি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের নাজমুল করিম ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনেস্কোর যৌথ সহযোগিতায় ১৯৫৭ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
এর পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৮ সালে অধ্যাপক ডক্টর নাজমুল করিম সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সমাজবিজ্ঞানের সকল পাঠ্যযোগ্য বিষয়গুলো তার হাত ধরে উঠে এসেছে।
তিনি অনেক প্রবন্ধ এবং বিভিন্ন সামাজিক বিষয়গুলো মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য লেখালেখি করতেন।
যদিও বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি তবে অন্যান্য দেশের সমাজবিজ্ঞানীর সংখ্যা অনেক বেশি।
সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে
ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন যে সমাজবিজ্ঞানীরা কিভাবে বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানকে উন্মোচিত করেছে।
বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার মূলভাব এবং বিষয়গুলো মূলত সমাজবিজ্ঞানীদের ধারাই এসেছে।
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞানের ধারণা নিয়ে আসেন ডক্টর নাজমুল করিম।
সমাজ বিজ্ঞান বলতে আমরা বুঝি একটি নির্দিষ্ট সমাজের মধ্যে বসবাসকারী মানুষজন যে সকল নিয়মকানুন এবং রীতিনীতি পালন করে থাকেন সেগুলোকে।
কোন সমাজ বিজ্ঞানী কিংবা সমাজ বিজ্ঞান বইয়ের মধ্যেও সমাজবিজ্ঞানের সঠিক সংজ্ঞা নেই। আপনি আমি কিংবা আমরা সকলেই একটি নির্দিষ্ট সমাজের মধ্যে বসবাস করি।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।
পড়ুনঃ
কোন কোন গেম থেকে টাকা আয় করা যায়
এই সমাজের কিছু নিয়মকানুন, বিধি নিষেধ কিংবা সামাজিক রীতিনীতি গুলো মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিটি সমাজ একই ধরনের হবে না এটাই স্বাভাবিক।
সমাজের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রূপ ধারণ আমাদের দ্বারাই হয়ে থাকে।
মূলত আমরা যেভাবে সমাজকে পরিচালনা করতে চাচ্ছি সেভাবেই একটি সমাজ গড়ে ওঠে এবং সেই সমাজে আমরা বসবাস করি।
সমাজ বিজ্ঞানের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে এগুলো এবং এগুলো মিলিত দ্বারা যে সংবাদ তৈরি হয় তাকেই সমাজবিজ্ঞান বলে।
দশ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম
সমাজবিজ্ঞানী | দেশ | |
এন্ড্রু এ্যাবট্ | মার্কিন | |
থিওডোর এ্যাডোর্নো | জার্মান | |
জেফরী সি. আলেক্সজেন্ডার | মার্কিন | |
লুইস অলথুসের | আলজেরিয়ান | |
মার্গারেট আর্চার | ব্রিটিশ | |
রেমন্ড এ্যারন | ফরাসি | |
জোহান এ্যাসপ্লান্ড | সুইডিশ | |
গ্রেগরী বেইটসন | এ্যামেরিকান | |
জিগমুন্ড ব্যম্যান | পোলিশ | |
পিটার এল. বার্জার | অস্ট্রীয়-মার্কিন |
আরও পড়ুনঃ
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়, আপনি কিভাবে শুরু করবেন
বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়, জানুন আয় করার সেরা ৫ উপায়
২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে | FIFA World Cup 2030
FAQS
মূলত বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানের জনক হচ্ছে ড. নাজমুল করিম।
ড. নাজমুল করিম ১৯২২ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫০ সালে ড. নাজমুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন।
১৯৪৬ সালে ড. নাজমুল করিম স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।
আমাদের শেষ কথা
বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম সম্পর্কে আজকের এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।
যদিও বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে দিতে পারিনি।
কেননা বাংলাদেশে সমাজ বিজ্ঞানী সংখ্যা একেবারে নেই বললেই চলে। যার কারনে বাংলাদেশের ৫ জন সমাজবিজ্ঞানীর নাম আপনাদের জানাতে পারেনি।
তবে এই পোস্টে আপনারা অন্যান্য দেশের সমাজবিজ্ঞানীদের নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ ধরনের আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো করতে পারেন।
জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
ক্রয় করতে DESH OFFER সাইটে ভিজিট করুন।